# মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবাণীতে ”জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ 2022” প্রতিযোগিতায় মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা, রাজশাহী সমগ্র দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(মাদ্রাসা) নির্বাচিত হওয়ায় অধ্যক্ষ মহোদয়ের পক্ষ থেকে গভর্ণিংবডিসহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী কে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ /span> # # আলিম 2022 পরীক্ষার ফরম ফিলাপ এর কার্যক্রম 08-06-2022 থেকে 18-06-2022 তারিখ র্পযন্ত চলমান থাকবে # # # মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা, রাজশাহী এর নতুন সাইট উদ্বোধন উপলক্ষে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। #

মদীনাতুল উলুম কামিল মাস্টার্স মাদরাসা, রাজশাহী

ইসলামপুর (দেবীশিংপাড়া-উপরভদ্রা) ডাক: কাজলা, থানা: বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন নং- ০৭২১-৭৫১১৩৮, মোবাঃ ০১৭১৩-৭৬০৪০২ (অধ্যক্ষ)

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
“রাব্বি যিদ্নী ইলমা”
“পাঠ কর তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।”
শ্রেষ্ঠ মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে একাধিকবার সরকারীভাবে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত।
ইল্ম ও আমলের অনুশীলনে নির্ভরযোগ্য আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মাদরাসার ব্যাংক হিসাব নং

(ক) মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৬৪২, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, রাজশাহী শাখা, রাজশাহী।

(খ) চলতি হিসাব নং ৩৩০২৯১৭৬ অগ্রণী ব্যাংক সাহেব বাজার শাখা, রাজশাহী, বাংলাদেশ।

(গ) দরিদ্রঃ লিল্লাহ বোর্ডিং মুদারাবা হিসাব নং ৩৪০২৭৭৮৭, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, রাজশাহী শাখা, রাজশাহী।

অবস্থান:

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্রে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর স্মরণী গ্রেটার রোডের পার্শ্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ০১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং রেলওয়ে স্টেশন ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ০.৭৫ কিলোমিটার পূর্বে অভিজাত ইসলামপুর (উপরভদ্রা) এলাকায় এক মনোরম পরিবেশে মাদরাসাটি অবস্থিত।

প্রতিষ্ঠা, শ্রেণী উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যঃ

স্বপ্নদ্রষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আলহাজ মাওলানা ড. মুহাম্মদ আব্দুস সালাম আল-মাদানীর আহŸানে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোঃ হাশমতুল্লাহ এর নিঃস্বার্থভাবে নিরলস ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা এবং বিচক্ষণ অধ্যক্ষ আলহাজ মাওলানা মোঃ মোকাদ্দাসুল ইসলাম এর সার্বিক সহযোগিতা এবং শিক্ষক মন্ডলী ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সম্মানীত সদস্যবৃন্দের সুচিন্তিত পরামর্শ এবং এলাকাবাসীসহ রাজশাহীর দাতা ব্যক্তিগণের অর্থায়ণে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক দাখিল (এসএসসি) শ্রেণী খোলার অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালে দাখিল (এসএসসি) বিজ্ঞান, ২০০১ সালে কম্পিউটার বিভাগ খোলার অনুমতি হয়। ১৯৯১ সালেই আলিম (এইচএসসি) সাধারণ, ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞান, ১৯৯৬ সালে ফাযিল (বিএ), ২০০২ সালে কামিল (এমএ) তাফসির ও ফিকহ এবং ২০০৪ সালে কামিল হাদীস বিভাগ খোলার মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানে ২০০৯-২০১০ শিক্ষা বর্ষ হতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অধীনে সমমানে (ক) আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং (খ) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ০২টি বিষয়ে ফাযিল (¯œাতক) অনার্স (সম্মান) কোর্স চালুর অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে অনার্স ক্লাসে ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আগামীতে আরও বিভিন্ন সাধারণ ও বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষাদানে উন্নত মান, একাডেমিক শ্রেষ্ঠ রেজাল্ট ও সহপাঠ কার্যক্রমে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনবদ্য কৃতিত্ব, যোগ্য শিক্ষক মন্ডলী ও ত্যাগী অপ্রতিদ্ব›দ্বী উচ্চ শিক্ষিত সদস্যবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত গভর্নিং বডির কারণে এত অল্প সময়ে মাদরাসার অভাবনীয় শ্রেণী উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই হচ্ছে দ্বীনী ইলম সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে বিশ্বমানের যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলা যাতে তারা দেশে-বিদেশে সরকারী ও বেসরকারী উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে আল্লাহর নির্দেশিত পথে মানব জাতিকে পরিচালিত করতে পারে এবং দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে নিতে পারে। মাদরাসাটি দলাদলি, কোন্দল ও রাজনীতি মুক্ত।

গভর্নিং বডির পরিচয়ঃ

গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক শিল্পপতি জনাব, আলহাজ মোঃ শামসুদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বরেণ্য আলেম প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সালাম আল মাদানী, সহ-সভাপতি, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক অবসর প্রাপ্ত ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ম্যানেজার জনাব মোঃ হাশমতুল্লাহ, দাতা সদস্য সরকারী হাইস্কুলের অবসর প্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আলহাজ মোঃ জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, বিদ্যোৎসাহী সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার জনাব মোঃ মজিবার রহমান মন্ডল, বিদ্যোৎসাহী সদস্য (১) বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ সাইদুর রহমান, (২) বিশিষ্ট শিক্ষাবিধ মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, (৩) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক আলহাজ মোঃ সারোয়ার হোসেন এবং শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য ০৩ জন ও চিকিৎসক সদস্য ০১ জনের সমন্বয়ে গভর্ণিং বডি গঠিত।

শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিঃ

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ডোনেশন না নিয়ে এবং সুপারিশের প্রাধান্য না দিয়ে একাডেমিক, শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতা এবং ভাষা জ্ঞান, গলার স্বর, পাঠদানের কৌশল, বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্যতা ও মেধা যাচাই করে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

অধ্যক্ষ, উপধ্যক্ষ ও অন্যান্য সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও শিক্ষকগণের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নরূপঃ

মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ মাওলানা মোঃ মোকাদ্দাসুল ইসলাম ফিকহ বিভাগসহ ১ম শ্রেণীতে ডবল কামিল এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি প্রাপ্ত। ২০০০ সালে রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়ে সরকারীভাবে পুরস্কৃত। শ্রেষ্ঠত্বের কারণে ২০০৭ সালে আমেরিকান সরকারের আমন্ত্রণে এবং আমেরিকান সরকারের খরচে অতিথি হয়ে সে দেশের শিক্ষাদান কার্যক্রম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের সুযোগ পান।
ক্র.নং নাম পদবী
মোঃ আঃ ছালাম মন্ডল উপাধ্যক্ষ, কামিল হাদীস ও তাফসীর ১ম শ্রেণী
মোঃ নাজমুল আলম মুফাসসির, কামিল তাফসির ১ম শ্রেণী, (অল ফার্স্ট ক্লাস)
মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন মুহাদ্দিস, কামিল হাদীস, তাফসির ও ফিকহ ১ম শ্রেণী এবং এমএ ১ম শ্রেণী (অল ফার্স্ট ক্লাস)
মোঃ ইউছুফ আলী সহকারী অধ্যাপক (আরবি), কামিল হাদীস, ফিকহ ১ম শ্রেণী, বিএ (অনার্স), এমএ, ইসলামী শিক্ষা, রাবি
মোঃ আব্দুল হান্নান সহকারী অধ্যাপক (আরবি), কামিল হাদীস, ফিকহ ১ম শ্রেণী এবং এমএ
কে. এম. সালাহ উদ্দিন সহকারী অধ্যাপক (বাংলা), বিএ (অনার্স), এমএ ২য় শ্রেণী, রাবি
ড. মোঃ আব্দুল হালিম সহকারী অধ্যাপক (ইস.ইতিহাস), কামিল ও বিএ (অনার্স) এবং ডবল এমএ (ইস.ইতিহাস) ও ইংরেজী
মোঃ আমজাদ হোসেন প্রভাষক (আরবি), কামিল ২য় শ্রেণী
আখতার জাহান প্রভাষক (রসায়ন), বিএসসি (অনার্স), এমএসসি ২য় শ্রেণী
১০ ড. কানিজ ফাতেমা প্রভাষক (জীববিদ্যা), বিএসসি (অনার্স), এমএসসি ২য় শ্রেণী
১১ মোঃ আব্দুর রব প্রভাষক (আরবি), কামিল ১ম শ্রেণী, বিএ (অনার্স) ১ম শ্রেণীতে ২য়, এমএ (ডবল) ১ম শ্রেণী, (অল ফার্স্ট ক্লাস, গোল্ড মেডালিষ্ট), কম্পিউটার ডিপ্লোমা।
১২ মোঃ আসাদুজ্জামান প্রভাষক (গণিত), বিএসসি (অনার্স), এমএসসি ১ম শ্রেণী (অল ফার্স্ট ক্লাস)
১২ মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রভাষক (ইসলামী শিক্ষা), বিএ (অনার্স), এমএ ১ম শ্রেণী (অল ফার্স্ট ক্লাস)
১৩ সাদিয়া পারভীন প্রভাষক (ইংরেজী), বিএ (অনার্স), এমএ ২য়, রাবি
১৪ মার্জিনা খাতুন প্রভাষক (পদার্থ বিদ্যা), বিএসসি (অনার্স), এমএসসি ২য় শ্রেণী, রাবি
১৫ মোঃ আতাউর রহমান প্রভাষক (পদার্থ), বিএসসি (অনার্স), এমএসসি ১ম শ্রেণী (অল ফার্স্ট ক্লাস), রাবি
১৫ মোঃ আবুল কালাম প্রভাষক (রসায়ন), বিএসসি (অনার্স), এমএসসি ১ম শ্রেণী (অল ফার্স্ট ক্লাস)
১৬ মোঃ ওবাইদুল্লাহ প্রভাষক (অতিরিক্ত), আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, বিএ (অনার্স) ১ম শ্রেণীতে ১ম, এমএ ১ম শ্রেণীতে ১ম, পিএইচডি ফেলো, ইবি
১৭ মোসাঃ মরিয়ম খাতুন প্রভাষক (অতিরিক্ত), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, বিএ (অনার্স), এমএ ২য় শ্রেণী
১৮ ড. মোছাঃ নাহিদা আক্তার লাবনী প্রভাষক (অতিরিক্ত), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, বিএ (অনার্স), এমএ ২য় শ্রেণী
১৯ মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক (গণিত), বিএসসি, বিএড ১ম শ্রেণী
২০ মোঃ আবুল বাসার সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান), এমএ, বিএড
২১ মোঃ আব্দুল আজিজ সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) বিএসসি, বিএড
২২ মোঃ সালাহ উদ্দিন সহকারী শিক্ষক (শারীর চর্চা), বিএ (অনার্স), বিপিএড
২৩ মোঃ আব্দুল জলিল সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান), এমএসসি, বিএড
২৪ মোসাঃ লুৎফুন্নেসা সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার), এসএসএস, কম্পিউটার ডিপ্লোমা
২৫ মোঃ নুরুজ্জামান জুনিয়র শিক্ষক, এমএ ২য়, বিএড
২৬ মোঃ নূর হোসেন সহকারী মৌলভী, কামিল হাদীস, ফিকহ ১ম শ্রেণী, হাফেজ ও দাওরায়ে হাদীস
২৭ জাহাঙ্গীর আলম সহকারী মৌলভী, কামিল ও বি এড
২৮ মোঃ ছোলায়মান এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক, ফাযিল ও আইএসসি
২৯ মাহমুদা খাতুন জুনিয়র শিক্ষক, বি এ (অনার্স) এম এ ২য়
৩০ মোঃ শামছুল হক জুনিয়র মৌলভী, কামিল ২য় শ্রেনী
৩১ মোঃ আব্দুর রশিদ ক্বারী শিক্ষক, দাখিল মুজাব্বিদ

কর্মচারীবৃন্দের পরিচিতিঃ

অফিস সহকারী ০৩ জন, ০৭ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও ০১ জন সুইপার।

ভৌত অবকাঠামোঃ

মাদরাসা ক্যাম্পাস ০২টি। প্রথম ক্যাম্পাসে জমির পরিমান ১০.৯৯ সহস্রাংশ এই ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অফিস, শিক্ষক, শিক্ষিকার বিশ্রামাগার এবং শ্রেণী কক্ষসহ মোট ২৮টি কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক ১৩টি স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারী বাথরুম, টয়লেট এবং ০২টি পৃথক ভিআইপি বাথ ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ও এলাকাবাসীর নামাজের জন্য ১১ শতাংশ জায়গায় বিরাটাকার দ্বিতল জামে মসজিদ ও পৃথক বড় মাপের ওজুখানা নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবন এখন পরীক্ষা কেন্দ্র ও ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিকটেই ৮৩০০ সহ¯্রাংশ জমিতে দ্বিতীয় অপর ০১টি ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরও ভবণের নির্মাণ কাজ চলছে। তথায় ইতিমধ্যে ০১টি ০৯ কক্ষ বিশিষ্ট তৃতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে যার নিচ তলায় ০১টি অফিস কক্ষ ০১টি স্টোর রুম ও ০১টি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ বিজ্ঞান গবেষণাগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় তলায় ০১টি অফিস কক্ষ, ০১টি স্টোর রুম ও ০১টি কক্ষ ৩১টি কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও আইসিটি ল্যাব দ্বারা সজ্জিত যা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তৃতীয় তলায় ০১টি অফিস কক্ষ, ০১টি ষ্টোর রুম ও ০১টি কক্ষ গবেষণা মূলক গ্রন্থ, হাদীস ও তাফসীর কিতাব সম্বলিত গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ভবন সংলগ্ন আরও ০২টি শ্রেণী কক্ষ রয়েছে। অপর ০১টি ০৫ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বৃহৎ আকার ০৪টি শ্রেণীকক্ষ বিশিষ্ট তৃতল পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, আরও ০১টি ভবন ০৪ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ০৯টি কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল পর্যন্ত নির্মান করা হয়েছে। এই ভবণের নিচতলায় অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অফিস, শিক্ষকবৃন্দের বিশ্রামাগার সহ ০৪টি কক্ষ রয়েছে। ২য় তলায় শিক্ষিকাদের ০১টি বিশ্রামাগার এবং ০৪টি শ্রেণী কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অর্থাভাবে টিনের চালের ছাউনি করে তথায় ০৪টি পার্টিশন দিয়ে আপাতত শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভবনগুলি ০৫ তলা পর্যন্ত নির্মান করতে পারলে এবং আরও ০২টি বৃহৎ আকার ০৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হলে শ্রেণী কক্ষ সমস্যা হয়ত কিছুটা সমাধান হবে। বর্তমানে এখানে এক শিফটে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলছে।

ছাত্রাবাসঃ

প্রথম ভবনটি ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি সংস্কার করে ০১টি উন্নত মানের ছাত্রাবাস তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

ছাত্রীনিবাসঃ

নতুন ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের জন্য ০১টি ছাত্রীনিবাস নির্মাণ করা অতি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এলাকার বিভিন্ন ছাত্রী নিবাসে অনেক অর্থ ব্যয়ে ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অচিরেই ছাত্রীনিবাস তৈরী করা হবে।

নামাজের ব্যবস্থাঃ

শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র এবং এলাকার জনগনের নামাজ আদায়ের সুবিধার জন্য সুন্দরভাবে আধুনিক দুইটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। ১ম ক্যাম্পাসে ১টি বিশাল দ্বিতল মসজিদ ২য় ক্যাম্পাসে ১টি ১ তলা বিরাট মসজিদ। সে মসজিদটির দোতলার কাজ চলছে।

ভর্তির নিয়মাবলী ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যাঃ

১ম শ্রেণী থেকে কামিল এবং ফাযিল অনার্স শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি কমিটির সুপারিশক্রমে উপযুক্ত শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৩৫৭ জন। নিজের ছেলে-মেয়ে ভর্তি করুন, আত্মীয়, স্বজন ও প্রতিবেশীদের ছেলে-মেয়েদের ভর্তি হতে পরামর্শ দিন।

হিজাব (পর্দা) এবং পোষাকঃ

ছাত্রদের জন্য সাদা পাঞ্চাবী, পায়জামা, টুপি, রুমাল, মোজা, কেডস ছাত্রীদের জন্য সাদা কামিজ, পায়জামা, রুমাল, মোজা, কেডস এবং নেভী বøু রংয়ের কাপড়ের বোরখা। ছোট শিশু ছাত্রীদের মাথায় সাদা স্কার্ফ রাখতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের হিজাব (পর্দা) রক্ষা করা বাধ্যতামূলক।

পাঠ্য বিষয়ঃ

আরবী, কুরআন-তাফসীর, হাদীস, ফিকহ এবং আকাইদ (সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত) ইংরেজী, বাংলা, গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা এবং কৃষি), তথ্য প্রযুক্তি, ক্যারিয়ার শিক্ষা, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কর্তৃক নির্ধারিত সরকারী বিষয়ে স্কুল ও কলেজের একই মান সম্পন্ন পাঠ্য পুস্তক পড়ানো হয়। উন্নত বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানাগার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দ্বারা আইসিটি ল্যাব হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য ৩১টি কম্পিউটার দ্বারা ১টি বিশাল কক্ষ দর্শনীয়ভাবে সজ্জিত করে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।

পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

১ম শ্রেণী থেকে কামিল এবং অনার্স শ্রেণী পর্যন্ত ০১টি সাময়িক পরীক্ষা এবং ০১টি বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হয়। তৎসঙ্গে প্রতি বিষয়ে টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ২০% হারে সংযোগ করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সরকারী নিয়মে ৩৩% নম্বর প্রাপ্ত হয়ে শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হয়।

পাঠদানের সময়ঃ

০১টি শিফট ক্লাস গ্রহণ করা হয়। ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সকাল ৯.০০টা থেকে দুপুর ১.১৫ টা পর্যন্ত এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে কামিল ও অনার্স শ্রেণী সকাল ৭.৪৫ টা থেকে ২.০০ টা পর্যন্ত। ক্লাসের সময় পরিবর্তনশীল।

অন্যান্য সুযোগ সুবিধাঃ

গরীব ও গরীব প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের বিনাবেতনে অধ্যয়ন, বই, খাতা, পোষাক-পরিচ্ছদ প্রদান এবং লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে থাকা খাওয়ার ব্যব¯থা করা হয়। দরিদ্র তহবিল থেকে নগদ অর্থও প্রদান করা হয়। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পুর¯কৃত করা হয়।

পরীক্ষার ফলাফল ও কৃতিত্বঃ

মাদরাসা বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রাখে। শ্রেষ্ঠ ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড প্রতি বৎসর সারাদেশে ১০টি শ্রেষ্ঠ মাদরাসা (Top Ten) বাছাই করে থাকে, অত্র মাদরাসাটি ২০০৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় (Top Ten) এ ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করেছিল। ২০০৭ সালে আলিম শ্রেণীতে (Top Ten) এর মধ্যে ২য়, কামিল শ্রেণীতে ৭ম স্থান লাভ করেছিল। ২০০৭ সালের ফাযিল পরীক্ষায় অত্র মাদরাসার ০২ জন ছাত্র সারাদেশের সম্মিলিত মেধা তালিকায় বোর্ড স্ট্যান্ড করে এবং ১৭ ও ২০তম স্থান লাভ করে। ২০১০ সালের ৮ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় অত্র মাদরাসার ছাত্র সমগ্র দেশের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করে। ইতিপূর্বে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে সারাদেশে সরকারীভাবে শ্রেষ্ঠ মাদরাসার বাছাই করা হতো তাতে এই মাদরাসটি জাতীয় পর্যায়ে ১৯৯১ সালে ও ২০০২ সালে শ্রেষ্ঠ মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরস্কৃত হয়ে মেডেল প্রাপ্ত হয়। দীর্ঘ ২২ বৎসরে এবতেদায়ী ৫ম শ্রেণীর বৃত্তির থানা কোটার সবকয়টি বৃত্তিই অত্র মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা পেয়েছে এবং জেলা কোটার ০৩টি বৃত্তির মধ্যে ০৩টিই প্রায় প্রতি বৎসর অত্র মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরাই পেয়েছে। অত্র মাদরাসা থেকে পাশ করে প্রতি বৎসরই ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিকেল, বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, খুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়ে থাকে। এমনকি ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারী স্কলারশিপ পেয়ে সে সকল দেশে অধ্যয়নরত আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী বিদ্যা বিষয়সহ বিভিন্ন বিভাগে ৫ জন ছাত্র অধ্যাপক পদে নিয়োজিত আছে এবং সমগ্র দেশে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত আছে। Top Ten

ছাত্রাবাসঃ

প্রথম ভবনটি ছাত্রবাস ও পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি সংস্কার করে ০১টি উন্নত মানের ছাত্রাবাস তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

যাতায়াত ব্যবস্থাঃ

দেশের যেকোন স্থান থেকে সড়ক ও রেলপথে মাদরাসায় যাতায়াত করা যায়।

ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতিক কর্মকান্ডঃ

প্রতি বৎসর রমজান মাসে বৃহৎ আকারে ইফতার মাহফিল করে সমগ্র মুসলিম জাহানের কল্যাণার্থে এবং অত্র মাদরাসায় যারা দান ও বিভিন্ন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন এবং করে আসছেন তাদের এবং তাদের পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজন, হিতাকাঙ্খীদেরসহ সকল পরলোকগত মুমিনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা হয়। ধর্মীয় ও জাতীয় দিবস সমূহ মহাসাড়ম্বরে পালন করা হয়। প্রতি বৎসর শরীয়ত সম্মতভাবে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব পালন সহ শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করা হয়।

রোভার স্কাউটঃ

বয়েজ স্কাউট টিম নিয়ে প্রতি বৎসর মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করা হয় এবং পুরস্কৃতও হয়ে থাকে।

আয়ের উৎসঃ

এমপিওভ‚ক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় স্কেলে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণকে প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন দেয়া হয়। জনগণ কর্তৃক দান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে প্রাপ্ত বেতনই আয়ের প্রধান উৎস। লিল্লাহ বোর্ডিং এ দরিদ্র তহবিলে দানশীল জনগণের কাছ থেকে প্রাপ্ত যাকাত, ফিৎরা ও ছাদকার অর্থ কিছুটা পাওয়া যায়।

ব্যয়ঃ

ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে প্রাপ্ত বেতনের অর্থ অতিরিক্ত নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মচারীগণের বেতন ও অফিসিয়াল এবং অবকাঠামো উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা হয়। লিল্লাহ বোর্ডিং ও দরিদ্র তহবিলের অর্থ গরীব ও প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের থাকা-খাওয়া, পোষাক-পরিচ্ছদ, বোরখা, চিকিৎসা, বই-পত্র ক্রয়সহ বিভিন্ন কাজে শরীয়ত সম্মতভাবে ব্যয় করা হয়। প্রয়োজনে নগদ অর্থও দেয়া হয়। বোর্ড পরীক্ষার ফিস বাবদও দেয়া হয়।

উন্নয়নঃ

যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে দিত অথবা দানশীল মহানুভব ব্যক্তিগণ এগিয়ে আসতেন তাহলে মাদরাসাটিকে বিশ্বমানের একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলে দেশ ও জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হওয়া যেত।

ফজিলতঃ

পুর্ণাঙ্গ জ্ঞানী সেই যে ইহ-পরকালীন জ্ঞান রাখে। দুনিয়াবী জীব অতি সীমিত। শিশু অবস্থায় চলে যায় ৫/৬ বছর। মাষ্টার ডিগ্রী নিতে নিতেই লেখে যায় ১৮/১৯ বছর। উপার্জনশীল হতে চলে যায় আরও ৪/৫ বছর। এভাবেই কেটে যায় প্রায় ৩০ বছর। কর্মক্ষমতা থাকে বড়জোর আরও ২৫ বছর। এরপরেই শুরু হয়ে যায় বার্ধক্য জীবন।

পরকালিন জ্ঞান না থাকায় মানুষ ভুলে থাকে তার অনন্ত জীবনের কথা। অনেকেই হারাম হালালকে তোয়াক্কা না করে সীমিত দুনিয়াবী সুখের আশায় গা ভাসিয়ে দেয়। সব অহংকার চ‚র্ণ বিচুর্ণ করে দিয়ে একদিন চলে যেতে হয় পরপারে। সেদিন এত স্নেহের ছেলেই আল্লাহর দরবারে বলবে আল্লাহ আমার কি দোষ। পিতা-মাতা আমাকে যদি কোরআন হাদীসের জ্ঞান শিক্ষা দিত তাহলে তো আজ আমার এ দূর্দশা হতো না। এ জন্য আমি নই আমার পিতা মাতাই দায়ী। সেদিনের কথা কিছুটা ভেবে ছেলে-মেয়েদের কমপক্ষে দাখিল (এসএসসি) পর্যন্ত পড়ান অথবা আলিম (এইচএসসি) পর্যন্ত মাদরাসায় পড়িয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ান। সে এক সময় না এক সময় ইহ পরকালীন জ্ঞানে জ্ঞানে জ্ঞানান্বিত হয়ে গোটা পরিবারকে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে নিয়ে যাবে। দু’ জাহানেই সুখে-শান্তিতে থাকবে।